চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত ১৪টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের মধ্যে ১৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গত ৪ এপ্রিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি তালিকা পাঠিয়েছেন অক্সিজেন প্ল্যান্ট পরিদর্শন কমিটি। ওই তালিকায় সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ের ১৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের মধ্যে মাত্র দুটি ঝুঁকিমুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অক্সিজেন প্লান্টের মধ্যে ৫টির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সীতাকুণ্ডের বেশিরভাগ অক্সিজেন প্ল্যান্টের নেই ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদিত (ফায়ার সেইফটি প্ল্যান) অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তি ও সচেতনতা। উপজেলার কুমিরার উত্তর মছজিদ্দায় অবস্থিত জিপিএইচ অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম অক্সিজেন প্ল্যান্ট ছাড়া বাকি সবগুলো প্ল্যান্টই ঝু্ঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় সেখানে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ অক্সিজেন প্লান্টগুলো হলো- শীতলপুরে অবস্থিত আবুল খায়ের গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং (অক্সিজেন প্ল্যান্ট), কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন কবির অক্সিজেন লিমিটেড, কেশবপুরে অবস্থিত লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মালিকানাধীন গোল্ডেন অক্সিজেন লিমিটেড, মধ্যম সোনাইছড়ি শীতলপুরের মাদার স্টিল এণ্ড অক্সিজেন, বারআওলিয়ার দক্ষিণ সোনাইছড়ির সুবেদার অক্সিজেন, ভাটিয়ারীর খাদেম পাড়ার এসোসিয়েড অক্সিজেন লিমিটেড, বড় কুমিরার কে আর অক্সিজেন লিমিটেড।
বন্ধ তবে ঝুঁকিপূর্ণ অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলো হলো- কেশবপুরের ব্রাদার্স অক্সিজেন লিমিটেড, অক্সিকো লিমিটেড, শীতলপুরের শীতলপুর অক্সিজেন, একই এলাকার রিগ্যাল অক্সিজেন, মানতি স্টিল এণ্ড অক্সিজেন লিমিটেড।
এগুলোর মধ্যে আবার আবুল খায়ের, কবির, লিন্ডে, এসোসিয়েড ও গোল্ডেন অক্সিজেন প্ল্যান্টে ফায়ার সার্ভিস অনুমোদিত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। কেবল নিজেদের মতো করে তারা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকে সাজিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম-টিভি/ সিসিআর