সৌদি আরব সফরের জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি কে আমন্ত্রন জানিয়েছেন সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
রবিবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমির বিন আবদুল্লাহি জানান, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। এ জন্য তিনটি জায়গা সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এখনো জায়গা নির্ধারিত হয়নি।
২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি আরব। ওই বছর সৌদি আরব ১ দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন শিয়া মুসলিম। এ তালিকায় ছিলেন প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরও। এ নিয়ে দুই দেশ প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ায়। ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। ইরানে বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলা করেন। ওই ঘটনার জেরে ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানে।
এ ছাড়া আট বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইয়েমেন যুদ্ধে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। ইয়েমেন সরকারের পক্ষে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা।
অবশেষে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক জোড়া লাগাতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ১০ মার্চ এ বিষয়ে একমত হন তাঁরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ জানায়, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে বৈঠকের ফলে আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে এবং দূতাবাসগুলো আবার খুলতে রাজি হয়েছে।
আরফাত/ সিটিভি