কিশোরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জামে মসজিদে তারাবিহ নামাজ শেষে মোনাজাতে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বয়ান করায় মসজিদের ইমামকে নামাজ পড়াতে নিষেধ করেছিল কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার রাতে এ ঘটনার পরদিন থেকে ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন আর মসজিদে নামাজ পড়াননি। এরপর এ নিয়ে সাধারণ মুসুল্লিসহ সকলের মাঝে বিভিন্ন প্রকার আলোচনা, সমালোচনা ও যুক্তিতর্কের জন্ম দেয়।
পরে এ ঘটনার তিনদিন পর বুধবার (১৯ এপ্রিল) মসজিদ কর্তৃপক্ষ ইমাম রুহুল আমিনকে মসজিদে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। তারপর তিনি আজ মসজিদে জোহরের নামাজ পড়িয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পরে ইমাম সাহেব আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না বলে কমিটিকে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তাকে মসজিদে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ জোহরের নামাজ থেকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমি গতকাল রোববার কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জামে মসজিদের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করেছি। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তে আবার মসজিদটিতে ইমামতি করার অনুমতি পেয়েছি।
জানা যায়, গত রোববার রাতে তারাবিহ নামাজ শেষে মোনাজাতে ঘুষ-দুর্নীতি নিয়ে দোয়া করেন মসজিদের ইমাম রুহুল আমিন। তাতে ক্ষুব্ধ হয় মসজিদ কমিটি। কমিটি উল্লেখ করেন, প্রায়ই তিনি রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী বক্তব্য দেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও ছিল।
এমন অভিযোগে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকারের নির্দেশে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোর কিপার আবদুল বাতেন তাকে ইমামতি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তাকে আজ পুনরায় মসজিদে নামাজ পড়াতে বলা হয়।