চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মধ্যরাতে এক মানবাধিকার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর, পরিবারের অভিযোগ ষড়যন্ত্র করে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্ট তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে।
সোমাবার (১ মার্চ) ১ টায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি হাকিম আবু বক্কর চৌধুরীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
কিন্তুু তার স্ত্রী রহিমা আক্তার (৩৫) অভিযোগ করেন সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের এসআই মুকিব কোন প্রকার ওয়ারেন্টের কপি ছাড়া তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আটক করে নিয়ে যায়। তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা ওয়ারেন্টের কপি চাইলে দেখানো হয়নি। তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের হয়েছে কিনা তাও জানেন না তিনি। কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে সেটিও জানানো হয়নি। এভাবে মামলা ছাড়া আদালতে আদেশ ব্যতিত থানা হাজতে একজন মানবাধিকার নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা যায় কিনা প্রশ্ন করেন তার স্ত্রী রহিমা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে প্রতিবেশী আবুল মুনসুর মানবাধিকার নেতা আবু বক্কর চৌধুরীর পাহাড়ের বাগানের গাছগাছালি পুড়ে দেয়। এ ঘটনায় মুনসুরের বিরুদ্ধে আবু বক্কর সীতাকুণ্ড থানায় একটি অভিযোগ করেন। কিন্তুু পুলিশ সেই অভিযোগ তদন্ত না করে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আজ মধ্য রাতে আবু বক্কর চৌধুরীকে আটক করে বিনা নোটিশে।
আটক আবু বক্কর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিতাকুন্ড উপজেলা শাখার সভাপতি, তিনি সিতাকুন্ড উপজেলার, ৬ নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের, দক্ষিন বাঁশবাড়িয়া, মগপুকুর গ্রামের, হুমায়ন কবিরের ছেলে।
আবু বক্কর চৌধুরী দীর্ঘ ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে সীতাকুণ্ডে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। নানাসময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে কাজ করেছেন। তিনি প্রশাসন, সাংবাদিক মহল, জনসাধারণের কাছে ব্যাপক পরিচিত ব্যক্তি।
এই বিষয়ে জানতে এস আই মুকিবকে কল করেও পাওয়া যায়নি।এই বিষয়ে থানার ওসি তোফায়েল আহমেদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে থানায়। ওই প্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছে। কিন্তুু মামলা সংক্রান্ত কোন নোটিশ দেয়া হয়নি।