ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মুসলিম সাংসদ ও ডন আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে লাইভ চলাকালীনেই সাংবাদিক সেজে গুলিতে ঝাজড়া করে দেয় দুই বন্দুকধারী।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গ্রেফতারের পর লাইভ টিভি তে বক্তব্য দেয়ার সময় খুন করা হয় এই দুই রাজনৈতিক নেতাকে।
এরপরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। লাইভের ফুটেজ বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, লাইভে কথা বলা শুরু করার পর পর সে এবং তার ভাইকে গুলি করতে শুরু করে দুই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুলিশের সামনে গুলি করলেও সেই দুই বন্ধুকধারীকে প্রথমে ধরার চেষ্টা করে নি উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
গুলি করা শেষ হয়ে গেলে নিজ থেকেই পুলিশকে সপর্দ হয়ে যায় তারা দুইজন। পর পর বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হলেও পুলিশের কাছ থেকে দেখা যায় নি কোন ফিরতি গুলি। এরপরেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে এই হত্যাকান্ড।
ভারতের মুখ্যমন্ত্রী ইওগী আদিদ্যনাত পুরোদমে মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত বিশ্বজুড়ে। এর আগেও তিনি অনেকবারেই মুসলিম বিদ্ধষীমুলোক কথা বার্তা বলেছেন। এর আগে লোকসভায় দাড়িয়ে সন্ত্রাসীদের মিটিয়ে দিবো।
সমাজবাদী পার্টি নেতা রাম গোপাল যাদব বলেন, লোকসভায় মুখ্যমন্ত্রী দাড়িয়ে বলেন শেষ করে দিবো। এরপরেই আতিক আহমেদ সুপ্রীম কোর্টে জানান পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যুর ঝুকি রয়েছে এবং তাই হলো। নিঃসন্দেহে আতিক আহমেদ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব তার মানে এই না যে তাকে হত্যা করে ফেলতে হবে।
উত্তর প্রদেশের অনেক হাকডাকেই রয়েছে এই সাবেক সাংসদ আতিক আহমেদ এর। একসময় কার ডন থেকে বর্তমানে রয়েছেন একটি শক্ত রাজনৈতিক অবস্থানে।
ভারতের বেশকিছু বিরোধী দল মনে করছেন পূর্ব পরিকল্পিত এই হত্যাকান্ড। মোদী সরকারের মুসলিম বিদ্ধেষ আচোরনের কারনেই হত্যা করা হয় এই দুই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকে।
এর আগে ১৩ এপ্রিল আতিক আহমেদ এর ছেলে আসাদ আহমেদ কে ভারতের জাসিতে পুলিশ কর্তৃক ইনকাউন্টরে হত্যা করা হয়।
চট্টগ্রাম-টিভি/ এসআর/ আরফাত